আজ শনিবার, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফুসকার সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে উম্মেহানী (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় বুরবুরিয়ারটেক এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে স্থানীয় ছনপাড়া এলাকার তুহিনের স্ত্রী। ঘটনার পর তুহিনকে এলাকাবাসী পুলিশে সোপার্দ করেন। সে ওই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। মেয়েকে হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের মা খোদেজা বেগম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বাদী থানায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ্য করেন, পাঁচ বছর আগে ছনপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে তুহিনের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় উম্মোহনীর। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুই সন্তানের জম্ম নেয়। কিন্তু ৯ মাস আগে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তুহিন। এনিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়।
তিনি মামলায় আরও উল্লেখ্য করেন, এক লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ২৮ ডিসেম্বর উম্মেহানীকে তার বাবার বাড়ি স্থানীয় বুরবুরিয়ারটেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দাবীকৃত টাকা না দিলে তার সঙ্গে আর সংসার হবেনা বলেও সাফ জানিয়ে দেয় তুহিন। ৩ জানুয়ারি বিকালে সে তার ছোট মেয়ে ইকরাকে চিকিৎসক দেখানোর নাম করে উম্মেহানীকে সঙ্গে নিয়ে ছনপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। পরে রাতে তাকে ফুসকার সঙ্গে কীটনাশক জাতীয় পদার্থ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়া হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। এজাহারে উল্লেখ্য বিবরণ থেকে আরও জানা যায়, নিহত উম্মেহানীর লাশ পরে তার বাবার বাড়িতে উঠানে ফেলে পালানোর সময় তুহিনকে আটক করে এলাকাবাসী।
সূরতহালকারী আড়াইহাজার এসআই হুমায়ুন জানান, মনে হচ্ছে খাবারের সঙ্গে তাকে বিষাক্ত কোন পর্দাথ খাইয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, মূল আসামিকে এলাকাবাসী আটক করেছে শোনেছি। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, নিহতের মা বাদী হয়ে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
